January 7, 2025, 12:19 am
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,একসময় এদেশকে সোনালী আশের দেশ বলা হতো,কারন পাট রপ্তানিই ছিলো বাংলাদেশের অর্থকারী ফসল।পাট থেকে পাট জাতদ্রব্য তৈরী হতো, বস্তা,সালা,ব্যাগ,রশি,সুতা,খেলধানী,শারী,লুঙ্গি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী হয়ে রপ্তানি হতো,পাট খড়ি হতে কাগজ,মলট,হার্ডবোর্ডসহ জালানী সামগ্রী তৈরী হতো।কালের বিবর্তনে আজ কৃষকরা পাট করতে আগ্রহী না,কারন গত বেশ একটি যোগ দেশে পাটের বাজারে দস নামায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাই এখন আর পাট আগের ন্যায় চাষ করে না,এবার কুমিল্লা উত্তর অঞ্চলের ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউনিয়নের মনগজ,বলাকিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন পাট চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এব্যাপারে একাদিক কৃষকরা জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার পাট উৎপাদনে বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে তবে পানি সংকটে আছেন তারা,পানির অভাবে কাচাপাট কেটে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতো জমিতে কিংবা ডোবায়। জমিরপানি নেমে যাওয়ার ফলে দিনমুজুর বেশি লাগতেছে। তারা আরো জানায় তাদের এলাকায় প্রায় ১০০ কানি জমি পাট চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে তবেপানির অভাবে দিনমজুরের সংখ্যা বেশি লাগায় লাগায় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা করছেন অনেক কৃষক।এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা বলক সুপার ভাইজার মোঃ হোসেন জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার কৃষকরা পাট চাষে লাভবান হবেন,সরকার বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন চাষীদের। পাটের বাজারও ভালো। একমন পাটের বর্তমান মূল্য প্রায় ১৮০০/২০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এককানী ত্রিশশতকে পাট ফলন হচ্ছে ৯/১০ মন পাট,সাথে রয়েছে পাটখড়ি। পাটখড়ি জালানি হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাট চাষে কৃষক দের আগ্রহ বাড়াতে সরকারের সহায়তা থাকবে।